সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উত্তরপাড়া শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দিরে চলছে ৪ দিনব্যাপী ৩২ প্রহর মহানামযজ্ঞনুষ্ঠান ও লীলা কীর্তন উৎসব।গত মঙ্গলবার রাত ১০ টায় শ্রীমদ্ভগবত গীতা পাঠের মাধ্যমে অধিবাস শুরু হয়ে শেষ হবে রবিবার সকালে।উৎসবের দিনগুলোতে চলছে হাজার হাজার মানুষকে ভোজন ও প্রসাদ বিতরণ।এ কীর্তন অনুষ্ঠানে নামসুধা পরিবেশন করেন,স্বরস্বতী সম্প্রদায় (ফরিদপুর),ভাইবোন সম্প্রদায় (বাগেরহাট),বাসনা সম্প্রদায়(গোপালগঞ্জ), জীবনানন্দ সম্প্রদায় (নড়াইল), কৃঞসেবা সম্প্রদায় (সলঙ্গা),শিশু গোপাল সম্প্রদায় (সলঙ্গা)।শ্রী শ্রী রাধা-গোবিন্দের লীলা কীর্তন পরিবেশন করেন, নয়না দাস এম,এ (ইংরেজী) সুদুর বীরভুম,সুলতা রায় (কলিকাতা),শ্রেয়সী সরকার (২৪ পরগনা)।বিকেল হতে গভীর রাত পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে এ উৎসবে।দেশ মাতৃকা ও পৃথিবীর সকল জীবের মঙ্গল কামনায় ৩০ বছর ধরে জগন্নাথ মন্দিরে এ কীর্তন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।কীর্তনের সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন,ড.নলিনী রঞ্জণ বসাক (অব: উপ সচিব),ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল কান্তি ঘোষ,(জি. এম)আবুল খয়ের স্টীল,চট্রগ্রাম,শ্রী গৌর গোপাল কুন্ডু,বগুড়া (উক্ত মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা)।নির্দেশনায় ছিলেন, জগন্নাথ মন্দিরের সভাপতি শ্রী নরেশ চন্দ্র জায়দার (বি এ,বিএড)।উৎসব উপলক্ষ্যে সলঙ্গা উত্তরপাড়ার সনাতন ধর্মালম্বীদের বাড়িতে বাড়িতে আত্মীয় স্বজনদের আগমন ঘটে। উত্তরপাড়ার বাসিন্দা গৌতম কুমার দোকান্দার জানান,প্রতি বছরের ন্যায় বার্ষিক এ উৎসবের কয়েক দিন মন্দির এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে।উৎসবে কীর্তন এলাকা জগন্নাথ মন্দিরের পাশেই চলছে বিভিন্ন পসড়ার জমজমাট মেলা। মেলায় নারী-শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশা ও নানা বয়সের মানুষের ভীড় ছিল দেখার মত।এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে সলঙ্গা এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।