ওয়ার্ড আ.লীগের সদস্য পদধারী নেতা ভাটা রফিকের ইন্দনে সিরাজগঞ্জ জেলায় চলছে ৮১টি অবৈধ ইট ভাটা যে কিনা এখন বিএনপির নেতা পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন মহলে ।
যানাযায়, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের একসময়ে বড় আওয়ামীলীগ নেতা রফিক ওরফে ভাটা রফিক এখন শাক দিয়ে মাছ ডাকতে নিজেকে বিএনপির বড় নেতা হিসাবে পরিচয় দিয়ে বেরাচ্ছেন নানা মহলে ।
এই আওয়ামী লীগ নেতা রফিক ওরফে ভাটা রফিক বিগত ১৫ বছর যাবৎ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সাথে আতাত করে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা বালুমহল টেন্ডার বাজীসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াতেন এই রফিক ওরফে ভাটা রফিক।
সিরাজগঞ্জ জেলায় বর্তমানে ইটভাটার অর্ধেকের বেশি ইটভাটা পরিবেশের ছাড়পত্র ও অন্যান্য অনুমোদন ছাড়াই চলছে।
এরা অবৈধ প্রক্রিয়ায় ইট উৎপাদন করে যেমনি পরিবেশ ধ্বংস করছে, তেমনি সরকারও বিরাট অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এসব ইটভাটার কোনো কোনো ফিল্ডে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়মনীতি না মেনে কাঠ, টায়ার, বিভিন্ন গার্মেন্টসের বর্জ্য ও ভুসি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে।
আর তা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশকে দূষিত করে তুলছে। জনগণও এর মারাত্মক ক্ষতির শিকার হচ্ছে। নানা রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে। চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে যেখানে-সেখানে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে এসব ইটভাটা।
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠা ওইসব ইটভাটার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য।
বিশেষ করে ইটভাটাগুলোতে কাঠ, টায়ার ও মাত্রাতিরিক্ত সালফারযুক্ত পাথুরে কয়লা ব্যবহারের ফলে পরিবেশ রয়েছে হুমকির মুখে। শুধু তাই নয়, ওইসব অবৈধ ইটভাটার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামীণ জনপদ এবং ফসলি জমি। পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জে ১৩০ টি ইটভাটা রয়েছে। যার মধ্য ৮১টি ইট ভাটা অবৈধ ভাবে ইট উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে।
জেলার এই ৮১ টি ইট ভাটা চালাতে সহযোগীতা ও একমত্র ইন্দন দাতা রফিক ওরফে ভাটা রফিক। যিনি সিরাজগঞ্জ জেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক বনে যাওায়া একসময়ের এই আওয়ামীলীগ নেতা রফিক ওরফে ভাটা রফিক এখন অবৈধ ইট ভাটা চালাতে নিজেকে বড় বিএনপি নেতা দাবী করছেন। এবং বিভিন্ন মহলে পরিচয় দিয়ে বেরাচ্ছেন বিএনপি নেতা হিসেবে করছে নানা অনিয়ম দূর্নীতি ও অপকর্ম।
রফিক ওরফে ভাটা রফিক এই অবৈধ ইট ভাটা চালাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাটা মালিক দের কাছ থেকে ইউএনও এসিল্যান্ড ম্যানেজ করার কথা বলে হাতিয়ে নিতো লক্ষ লক্ষ টাকা। আর এই অবৈধ ইট ভাটা চালানোর জন্য ভাটা মালিকরা যার কোনদিন হিসাব নেননি রফিকের কাছ থেকে।
এবিষয়ে বেশ কিছু ভাটা মালিদের সাথে কথা বললে তারা বলেন আমারা কোন নিয়ম মানতে পারবো না আগেও যে ভাবে চলেছে এখনও সেই ভাবেই চলে। আমাদের সমিতি আছে তারা এই ভাই চালাতে সহযোগিতা করে। অবৈধ ইট ভাটা চালানোর কথা জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, আমার সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভাটা চালাচ্ছি।
অবৈধ ইট ভাটা মালিকদের মাঝে মধ্য ইউএনও বা এসিল্যান্ড জরিমানা করলেও অদৃশ্য কারনেই ঐ সকল অবৈধ ইট ভাটা গুলো বন্ধ হয়না।