যানজট নিরসন এবং যাত্রীদের নিরাপত্তায় সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন মহাসড়কে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
মহাসড়কে সেনাবাহিনী নিয়োজিত থাকায় যমুনা সেতু পশ্চিম সিরাজগঞ্জে নেই যানজট। যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও যানজট নেই। ঈদ উপলক্ষে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। সকাল থেকে যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও যানজট নেই।
যানজট নিরসনে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন মহাসড়কে কাজ করছে সেনাবাহিনী সদস্যরা। ফলে স্বস্তিতে আছেন যাত্রীরা।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে অনেকে ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছেন। ১১ পদাতিক ডিভিশন এবং বগুড়া অঞ্চলের অধীনস্থ ৪০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আরটিলারের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুনায়েদ বিন কবির, (পিএসসি, জি) বলেন, হাটিকুমরুল থেকে যমুনা সেতু এবং চান্দাইকোনা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় মহাসড়কে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
সিরাজগঞ্জ আর্মি গত জুলাই আন্দোলন থেকে অদ্যাবধি সিরাজগঞ্জের মানুষের জন্য এবং সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে যেন কোন ধরনের দুর্ভোগ সৃষ্টি না হয় সেজন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে এজন্য দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুর রউফ বলেন, ঈদযাত্রায় শুক্রবার মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে বিভিন্ন পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে।
এদিকে যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ হাজার ২২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এরমধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ২০ হাজার ২৪১টি যানবাহন পারাপার হয়। গতকাল বুধবারের চেয়ে বৃহস্পতিবার যমুনা সেতু দিয়ে ২ হাজার ২টি যানবাহন বেশি পারাপার হয়েছে।
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই পাশে ৯টি করে মোট ১৮ বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এরমধ্যে দুপাশেই ২টি করে বুথ দিয়ে আলাদাভাবে মোটরসাইকেল পারাপার হচ্ছে।