
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের প্রধান আসামিসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২ সদর কোম্পানি ও র্যাব-১। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর দিকনির্দেশনায় ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রি. রাত ২২.০০ ঘটিকার সময় র্যাব-১২, সদর কোম্পানি ও র্যাব-১, সিপিএসসি গাজীপুরের যৌথ আভিযানিক দল ‘‘গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার দুস্য নারায়নপুর এলাকায়’’ অভিযান পরিচালনা করে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের ঘটনার এজাহারনামীয় ২ জন আসামিকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার ভাটরা গ্রামের মোঃ নজরুল ফকিরের ছেলে মোঃ আরিফুল ইসলা(২৮) ও মৃত ইসমাঈল ফকিরের ছেলে মোঃ নজরুল ফকির (৪৮)। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, ধৃত আসামিদের সাথে বাদী মোঃ জহির উদ্দিন এর পরিবারের পারিবারিক কলহ ছিল। সেই শত্রæতার জেরে গত ০৮-০১-২০২৪ খ্রি. তারিখে আসামিগণ পূর্বপরিকল্পিতভাবে মোঃ জহির উদ্দিনের স্ত্রী, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও মা’কে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, সাবল প্রভৃতি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্নস্থানে ফোলা জখম করে। প্রতিবেশীরা সবাইকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ভিকটিম ফাতেমা বেগম (৬০) এর শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ হলে তাকে জরুরী বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম ফাতেমাকে মৃত ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের ছেলে বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-১৬, তারিখ ১২-০১-২০২৪ ধারাঃ- ১৪৩/৪৪৮/১২৩/৩২৫/৩০৭/১০২/৩৫৪/১১৪/৩৪ পেনাল কোড। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।