হিন্দু বাঙালিদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধর্মীয় উৎসবের নাম কোজাগরী লক্ষী পূজো। হিন্দু সমাজ গৃহস্থের ঘরে ঘরে তাদের সম্পদ সমৃদ্ধির আশায় দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করেন। লেগে যায় মহোৎসব। সেই উৎসবের রায়গঞ্জের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠে কালিঞ্জা গ্রাম।
বহমান ইছামতী নদীর তীরেই সবুজ শ্যামল গ্রামের নাম কালিঞ্জা। সেই গ্রামেই বাস করেন প্রায় ৫ শতাধিক হিন্দু পরিবার। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও খুব ধুমধামের সাথে আয়োজন করেন লক্ষীপূজোর। এ বছর ঘোষ পাড়া, হাওলাদার পাড়া ও দাসপাড়া মিলে ৬টি পূজো মন্ডপের আয়োজন করেছেন খুব ধুমধামের সাথে। আলোয় সাজিয়েছেন কালিঞ্জা ব্রীজ থেকে শুরু করে পুরো কালিঞ্জা হিন্দু পাড়া টাকেই। আনন্দে মেতে উঠেছে উৎসব প্রেমী মানুষেরা।
গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতে সাক্ষাৎকারে- কালিঞ্জা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রবীন মুরব্বি সন্তোষ ঘোষ বলেন, আজ থেকে প্রায় ২ শত বছর ধরে আমাদের পূর্বপুরুষ ও আমরা লক্ষ্মী পুজো করে আসছি। রায়গঞ্জের অন্যতম পূজা মন্ডপ হিসেবে রয়েছে আমাদের খ্যাতি। আমরা আশা রাখবো আমাদের আগামী প্রজন্ম এই খ্যাতিকে ধরে রাখবে এবং সিরাজগঞ্জ জেলার অন্যতম পূজো কেন্দ্রে পরিণত করবে।
রায়গঞ্জ উপজেলা সেচ্ছাসেবকদলের অন্যতম সদস্য ও হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক বিপ্লব ঘোষ ৬টি মন্দির পরিদর্শন শেষে লক্ষ্মী পূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, আমার এই প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কালিঞ্জা গ্রামটি ছিল রায়গঞ্জের শেষ সীমানায়। যার ফলে সুযোগ- সুবিধা থেকে বঞ্চিত, উন্নয়নের ছোয়া নেই বললেই চলে। আমার এলাকায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের বসবাস যার জন্য মহাউৎসব করার সপ্ন থাকলেও সম্ভব হয়না।
আমি দীর্ঘদিন যাবত বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছি। আগামীতে আমার দল-বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে আমার কালিঞ্জার হিন্দু- মুসলিম সকলের হাতে হাত রেখে আমার এই গ্রামটি বা ওয়ার্ডটিকে রায়গঞ্জের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবো। এই মর্মে সকলের সহযোগিতা একান্ত ভাবে কাম্য, সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, পুজোর আনন্দ আনন্দিত হবেন।
ঝর্ণা আক্তার/ আজকের সিরাজগঞ্জ