কোন উৎসব অনুষ্ঠান, ঈদ বা পূজা যাই বলা হয় না কেন বোনাস বা বাড়তি কিছু উপার্জনের ইচ্ছা পোষণ করেন সকলেই। সেরকমই গণপরিবহণ ব্যবস্থায় থ্রি হুইলার বা সিএনজি চালিত অটোর ভাড়াও বাড়িয়ে দেওয়া হয় কিন্তু সেটারও একটা পরিমাপ থাকা উচিত যেন যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দে সে ভাড়া পরিশোধ করেন। তবে এ ব্যাপারে চালকদের ভাড়া সংক্রান্ত ব্যবহারে ভোগান্তির অভিযোগ উঠে আসছে যাত্রীদের থেকে।
সিরাজগঞ্জের বাজার স্টেশন স্ট্যান্ডে বিকাশ চন্দ্র দাস নামক এক যাত্রী বলেন- কাল রাত প্রায় ১০ টায় ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ শহরে নামার পর সিএনজি যৌগে পিপুলবাড়িয়া যান। সিএনজিতে ওঠার সময় বাড়তি বাড়ার কথা না বললেও নামার সময় তার থেকে ন্যায্য ভাড়ার চাইতেও দ্বিগুণ রাখা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিএনজি চালক বলেন, পূজা উপলক্ষে আমরা বোনাস নিয়ে থাকি তাতে এত কিপ্টামি করেন কেন বলে অপমান জনক কথাও বলেন।
শুনিল ভৌমিক নামক অন্য আরেক যাত্রী বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। সে উপলক্ষে উৎসব ও আনন্দের শেষ নেই কেনাকাটা, ঘোরাফেরা, পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করে থাকেন।
দেখা যায়, সেক্ষেত্রে ইচ্ছে করেই আনন্দের সহিত সবকিছুতেই বোনাস দেয়া হয়। তারপরেও রাত্রে বেলা যদি এভাবে আমাদের জিম্মি করে বাড়তি ভাড়া রাখে তাহলে এ ব্যাপারে আমাদের একটু ভোগান্তি হয়ে যায়। তাদের উভয়ে এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। যেন এই দুর্গাৎসবে সবাই ভোগান্তিহীনভাবে আনন্দ উৎসব করতে পারেন।
এ ব্যাপারে সিএনজি চালক সুলতান সেখ বলেন, আমরা যারা স্ট্যান্ডে গাড়ি চালাই তারা সব সময় ন্যায্য ভাড়াই নিয়ে থাকি। আর যদি বোনাস বা রাতের বেলা হয় তাহলে উঠার সময়ই যাত্রীদের বলে নেই।
কিন্তু যারা স্ট্যান্ডে গাড়ি চালায় না বিভিন্ন রুটে এলোমেলো ভাবে বা তাদের ভাষায় ঝাউলি গাড়ি চালায় তারা এসব কর্মকাণ্ড করেন।
ঝর্ণা আক্তার/ আজকের সিরাজগঞ্জ