সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ঝাঐল ইউনিয়নের মামুদাকোলা গ্রামের আওয়ামী পন্থি নজরুল সরকারের দ্বারা জুলুম-নির্যাতনের শিকার মাওলানা ইসমাইল হোসেন ও তার পরিবার।
তথ্যসূত্রে জানাযায়, নজরুল সরকার ২০১৮ সালে আওয়ামীলীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতার তদবিরের মাধ্যমে জঙ্গি ট্যাগ লাগিয়ে ইসমাইল ও তার পরিবারের সদস্যদের র্যাব দিয়ে জঙ্গি হিসেবে ধরিয়ে দেন। র্যাব আসামীদের গ্রেফতারের পর কামারখন্দ থানায় (জেএমবি) জঙ্গি এর সক্রিয় সদস্য হিসেবে সন্ত্রাস বিরোধী আইন-২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) অনুযায়ী ২৪/০৪/২০১৮ তারিখে ১৫ নং মামলা দায়ের করেন।
মামলা সুত্রে জানাযায়, র্যাব অভিযান চালিয়ে ১. রাকিবুল হাসান(২২) পিতা- আঃ মান্নান শেখ সাং- মাটিকোড়া ২. জুয়েল রানা(২০) পিতা- জয়নুল আবেদীন সাং- মামুদাকোলা এই দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে চালান করা হয় এবং তিন নাম্বার আসামী হিসেবে মাওলানা ইসমাইল হোসেনের নাম দেয়া হয়।
ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় তাদের অভিযুক্ত করায় ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন গ্রাম্য সালিশ কেন্দ্রে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৎকালীন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশি বৈঠক হয়।
এলাকাবাসীর সুত্রে জানাযায়, ইসমাইল হোসেন ও তার পরিবার কোন রকম অরাজকতার সাথে জড়িত নেই তারা অতি নম্র-ভদ্র ও ইসলাম অনুরাগী মানুষ। কিন্তু নজরুলের ভাই আলমের বউকে নির্যাতন করে তালাক দেয়। আবার সেই বউকে পুনরায় বিয়ের জন্য মাওলানা ইসমাইল হোসেনের দ্বারস্থ হন। কিন্তু শরীয়ত বিরোধী হওয়ায় মাওলানা সাহেব বিয়ে পড়াতে রাজি হয়না। যার প্রেক্ষিতে নজরুল,তার ভাই আরিফ, আবু বক্কারের পুত্র শামিম ইসলাম ও চাদপুর নিবাসী আক্তারের পুত্র মাহবুবুর রহমান সবুজসহ বেশ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে নিজেদের রাগ,ক্রোধ এবং স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে আওয়ামী প্রভাব বিস্তার করে শত্রুতামুলক ভাবে তাদেরকে জঙ্গি হিসেবে র্যাব দিয়ে ধরিয়ে দেন।
গ্রাম্য বিচারে প্রমাণিত হয় নজরুল, শামিম, আরিফ, আশরাফুল, মাহবুবুর রহমান সবুজসহ আরও কয়েকজনকে সাথে নিয়ে শত্রুতামুলক ভাবে তাদের উপর অন্যায়- নির্যাতন করেন।পরবর্তীতে বিচারের রায় হিসেবে আনুমানিক প্রায়- ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য্য করা হয়।
সালিশি পরিচালনা কমিটির সদস্য মতিন ফকির বলেন, দলীয় প্রভাবের কারণে বিচার পূর্ণাঙ্গ সমাধান করা সম্ভব হয়নি। যেহেতু মাওলানা ইসমাইল হোসেন ও তার পরিবার এই দায়ে অভিযুক্ত নন তবুও তাদেরকে এখন পর্যন্ত বিনা দোষে জঙ্গি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় দোষীদের আইন অনুযায়ী সঠিক শাস্তির ব্যবস্থা হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি। যেন পরবর্তীতে যে কেউ নিজের স্বার্থ চরিতার্থের জন্য অন্যায় কাজে লিপ্ত না হয়।
ফারজানা খাতুন/ আজকের সিরাজগঞ্জ