সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমে উঠেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার প্রচারনা। ৩ টি পদে লড়ছেন ১০ জন প্রার্থী। ৩ পদেই আসতে পারে নতুন মুখ। পদ ধরে রাখতে মরিয়া সাবেক জনপ্রতিনিধিগণ। চলছে শেষ সময়ের চুল চেরা বিশ্লেষণ। প্রার্থীরা ঘুড়ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তাড়াশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন । আর এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কমল মার্কা নিয়ে লড়ছেন সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি ও আনারস মার্কা নিয়ে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈদ্যুতিক বাল্প মার্কা নিয়ে লড়ছেন সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন খান, চশমা মার্কা নিয়ে লড়ছেন সাবেক এমপি ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ গাজ্বী ম.ম আমজাদ হোসেন মিলনের কনিষ্ঠ ছেলে ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক ম.ম জর্জিয়াস মিলন রুবেল এবং তালা মার্কা নিয়ে লড়ছেন উপজেলা সেচ্ছা-সেবক লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল খালেক পিয়াস। আর মহিলা ভাইস পদে সদ্য সাবেক সহ মোট ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে । সরেজমিনে ঘুরে, বিভিন্ন শ্রেনীর ভোটার ও এলাকারগণ্যমান্য ব্যাক্তিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবার নতুন মুখ দেখতে চান তারা। এ দিকে মাঠ পর্যায়ে প্রচারণার পাশা পাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচারণায় বেশ এগিয়ে রয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ম.ম জর্জিয়াস মিলন রুবেল। ভর করছেন বাবার রাজনৈতিক পরিচয়। এ দিকে গত নির্বাচনে নৌকা মার্কা নিয়ে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে হারলেও এবার বেশ সরগোল শোনা যাচ্ছে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সঞ্জিত কর্মকারের নাম। নির্বাচনে জয়লাভের কৌশল হিসেবে দেখা যাচ্ছে গত নির্বাচনে নৌকা মার্কা নিয়ে হারলেও মাঠ না ছেড়ে বরং নিজের মতো করে গুছিয়ে নিয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও সকল প্রার্থীর সাথে কথা বললে তারা তাদের জয়ের কথা বলছেন। দাবী করছেন নিজ নিজ জনপ্রিয়তার ।
দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীই নির্বাচনী প্রচার জোরদার করার পাশাপাশি নিজ নিজ কৌশল প্রয়োগ করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনের শেষ প্রান্তে এসে নানামুখী মেরুকরণ হচ্ছে। প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের ফ্যাক্টর হিসেবে সামনে আসছে বিভিন্ন সমীকরণ। ভোটাররা মনে করছেন, আনারস ও দোয়াত কলমের মধ্যে ভোটের লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। শেষ পর্যন্ত ফলাফল কি হয় তা দেখার জন্য উপজেলাবাসীর চোখ এখন নির্বাচনের দিনের দিকে।
উল্লেখ্যঃ- তাড়াশ উপজেলায় মোট ৭১ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ৭৯ হাজার ২৫৮ জন পুরুষ ,৭৯ হাজার ৩৬৫ মহিলা ও ৩ জন হিজড়া ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।