চলমান তাপপ্রবাহে কৃষকের পাশে রয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিস। কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রতিটি ইউনিয়ন ভিত্তিক গঠিত টিমের সদস্যরা বোরো ধানের মাঠে যাচ্ছেন। দিচ্ছেন কৃষকদের পরামর্শ । এতে ফসল রক্ষার জন্য প্রয়োজনী পরামর্শ সহ কৃষকরা উপকৃত হচ্ছেন পাচ্ছেন মনোবল।
তাড়াশ উপজেলার ঘরগ্রাম গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার জানান,প্রচন্ড তাহদহের মধ্যের জীবিকা নির্বাহের জন্য কৃষি কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এখন ভয় শুধু একটাই এই তাপমাত্রায় জমির ধান মরে যায় কিনা।
তাড়াশ পৌরসভার আসানবাড়ী গ্রামের কৃষক ফারুখ হোসেন বলেন, আমাদের জমির বোরো ধান পেকে গেছে এ সপ্তাহের মধ্যেই হয়তো কেটে ঘরে তুলতে পারবো। এত তাপমাত্রায় আমরা অনেকটা দুরচিন্তায় আছি। কৃষি অফিসারদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় জমিতে ঠান্ডা পানি দিচ্ছি।
সরেজমিনে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের দিঘিসগুনা মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, তাড়াশ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ তাজুল ইসলাম বোরধানের জমিতে কৃষকদের সাথে নিয়ে ঘুড়ে ঘুড়ে দেখছেন ও পরামর্শদিচ্ছেন। এ সময় তার সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আমারা সার্বক্ষনিক মাঠে থেকে কৃষকদের পরামর্শ ও মনোবল যোগাচ্ছি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার তাড়াশ উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটে জানান, এই মুহুর্তে তাড়াশ উপজেলায় ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চলছে কিছু ক্ষন পরে আরো বৃদ্ধি পাবে বলে ধারনা করা যাচ্ছে। হয়তো ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছেড়ে যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চলমান তাপপ্রবাহের হাত থেকে ফসল রক্ষায় আমরা আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রতিটি ইউনিয়ন ভিত্তিক একটি টিম গঠন করেছি। আমিসহ এ টিমের সদস্যরা ক্ষেতে গিয়ে কৃষককে তাপপ্রবাহ মেকাবেলায় বিভিন্ন পারামর্শ দিচ্ছি। কৃষকরা সেভাবে কাজ করে ফসল রক্ষা করছেন। আমাদের সব ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ব্লকে যাচ্ছেন। কৃষকের সমস্যা চিহ্নিত করে পরামর্শ দিচ্ছে।