পবিত্র রমজান মাসে সরকার ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারন করে দিলেও সলঙ্গার হাট-বাজারে তার প্রভাব নেই।লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য পণ্যের দাম। আমদানী প্রচুর পরিমানে থাকলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটে বেড়েই চলেছে দ্রব্যমূল্যের বাজার।যার প্রভাব পড়ছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের ক্রেতাদের উপর। ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নজরদারী বা ভ্রাম্যমান অভিযানের বালাই নেই বলেও অভিযোগ করেন সাধারন ক্রেতাদের।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, রমজানকে ঘিরে সলঙ্গায় চাল, ডাল, মাছ,মাংশ,ডিম-দুধ,কলা,পেঁয়াজ,রশুন,আদা,
আলু,পোটল,মরিচ, তরমুজ,টমেটো,খিরা,শসা,করলা,খেজুর,কলা,ছোলা,তেল,চাল সবকিছুতেই যেন আগুন। ২৯ টি পণ্যের মুল্য নির্ধারন করে দিলেও সলঙ্গার ৬ টি ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য হাটবাজার,স্থানীয় দোকানপাটে সরকারি নিয়ম মানতে দেখা যায়নি। প্রতিটি পণ্যে অধিক দাম নেয়া হলেও দেখার কেউ নেই। বিক্রেতারা বলছেন,কম দামে কিনতে পারি নাই বলেই বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।পাইকাররা বলছেন, দাম নির্ভর করে মালের আমদানীর উপর।সলঙ্গার কোথাও কোন দোকানে নির্ধারিত মুল্য তালিকা ঝুলানোর বালাই নেই। সরকার নির্ধারিত মুল্য সম্পর্কে জানতে চাইলে সলঙ্গা বাজারের এক কাঁচামাল বিক্রেতা জানান,কাঁচামাল নির্ধারিত মুল্যে চলে না। আমদানী বেশি হলে একাই দাম কমে যাবে।রুহুল আমিন নামের এক ক্রেতা বলেন,রমজান মাসে সরকার দ্রব্য মুল্য স্বাভাবিক রাখতে ঢাকঢোল বাজালেও বাজারে তার কিছুই প্রমান নেই। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মুল্য না মানায় রমজানে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের উপর এর প্রভাব পড়ছে। রমজানে ক্রেতা সাধারণ যেন সুলভ মুল্যে নিত্যপণ্য কেনাকাটা করতে পারে, সিন্ডিকেটের কবলে যেন না পড়তে হয় সেজন্য রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সলঙ্গার সচেতন মহল।