চলনবিল অঞ্চলের সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমিতে বিনা চাষে রোপন করা রসুন তোলার মৌসুম শুরু হয়েছে। ইতি মধ্যে হাট বাজারে ক্রয়-বিক্রয় শুরু হয়েছে নতুন রসুন। রসুনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মূখে হাসির ঝিলিকের দেখা মিলেছে। সরেজমিনে,চলনবিলের তাড়াশ উপজেলার,চরকুশাবাড়ী,নাদোসৈয়দপুর,ধামাইচ,সবুজপাড়া,চরহামকুরিয়া,বিন্নাবাড়ী,হামকুড়িয়া, মাগুড়াবিনোদ,দিঘীসগুনা,কুন্দইল,কুসাবড়ী সহ চলনবিলের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, জমি থেকে আগাম লাগানো রসুন তুলছেন কৃষকেরা। এ বছর রসুনে ফলন বাম্পার হচ্ছে দাম ও রয়েছে কাঙ্খিত। প্রতি বিঘা জমিতে ২৮ থেকে ৩০ মন হারে ফলন হচ্ছে। যা কাঁচা ভেজা অবস্থাতেই ২৮ শ’ থেকে ৩ হাজার টাকায় পাইকারী বিক্রি করছেন কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী এ বছর চলনবিল অঞ্চলের শুধু তাড়াশ উপজেলায় রসুনের চাষ হয়েছে ৪৭০ হেক্টর। কৃষি অফিস ধারনা করছেন ৩৪৭৮ মেট্রিক টন ফলন উৎপাদন সম্ভব। চলনবিলের হাট-বাজার গুলো এখন রসুনের বিক্রেতা ও পাইকার দিয়ে ছেয়ে গেছে। রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন্ শহর থেকে বড় বড় রসুনের পাইকারের উপস্থিতিতে হাটগুলো যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের চরকুশাবাড়ী গ্রামের রসুন চাষী খলিলুর রহমান বলেন,বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই জমির কাঁদা মাটিতে রসুন লাগিয়ে ছিলাম। এখন জমি থেকে রসুন তোলা শুরু করেছি। প্রতি বিঘায় ২৮ থেকে ৩০ মন করে ফলন হচ্ছে। দামও ভালো পাচ্ছি। আশা করছি সামনে আরো বেশী জমিতে রসুনের চাষ করবো।
সগুনা ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, আমরা উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশে জমিতে রসুন রোপন থেকে শুরু করে বিনামুল্য বীজ,সার সহ বিভিন্ন সহযোগীতার পাশা পাশি পরামর্শ দিয়ে কৃষকের পাশে আছি এবং থাকবো।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের অঞ্চলে রসুন অনেক ভালো হয়। যার ফলে কৃষকেরা দিন দিন রসুন চাষে বেশী অগ্রহী হচ্ছে। এ বছরও রসুনের বাম্পার ফলন হচ্ছে। দামও সঠিক পাচ্ছে কৃষকেরা। তাই কৃষদের চোখে মুখে হাসির ঝিলিক দেখা যাচ্ছে। কৃষকেরা ভাল থাকলে আমরাও ভাল থাকি।