তাড়াশে শস্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিলে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন কৃষকেরা। বর্তমানে বাজারে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে তাড়াশে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ২২ হাজার ৪৯৩ হেক্টর। আর চাষ হয়েছে হয়েছে ২২ হাজার ৫০২ হেক্টর জমিতে।
ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে নতুন ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকেরা। আবার উপজেলার নওগাঁ,বারুহাস, তালম, দেশীগ্রাম, কাটাগাড়ী, বিনসাড়া, মান্নান নগর ও রানীর হাট সহ বিভিন্ন হাট-বাজারে শুরু হয়েছে ধান ক্রয়-বিক্রয়।
তাড়াশ উপজেলার কয়েকটি হাট-বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি সপ্তাহে বিভিন্ন হাট-বাজারে নতুন ধান কাটারি, প্রতি মণ ১২৫০ থেকে ১৩৫০ ও মিনিকেট ১০৫০থেকে ১১৫০ টাকা মন বিক্রি হচ্ছে। তবে নতুন ধান কাটা শুরু হলেও হাট-বাজারগুলোতে চালের বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই।
উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ধানকুন্টি গ্রামের কৃষক আঃ মতিন নেসারি জানান, এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হচ্ছ। ইতোমধ্যে আগাম জাতে ধান কাটা শুরু করেছি, প্রতি বছরের তুলনায় এ বছর ধানের ফলন বেশি হওয়ায় আমরা লাভের আশা করছি। হাট-বাজারে ধানের দামও ভালো বেশ লাভও হবে। এছাড়া খড়ের দামও অনেক। খড় বিক্রি করেও লাভবান হচ্ছি।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ধানের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আগামী ১-২ সপ্তাহের মধ্যে কৃষকেরা আগাম জাতের ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা। আমাদের কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
ঝর্ণা আক্তার/ আজকের সিরাজগঞ্জ