চলতি র্বষা মৌসুমে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর ফসলী জমিতে সদ্য রোপন করা রোপা আমন ধান পানিতে ডুবে গেছে। আর ওই সমস্ত এলাকায় যত্রতত্র অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানিয়েছেন। তারা এলাকার ফসলী জমিতে এমন জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের দাবীও জানান। অপরদিকে অনেক জমিতে স্থায়ী ভাবে জলাবদ্ধতা থাকার কারণে ফসল চাষ নিয়ে দুঃচিন্তার মধ্যে রয়েছে কৃষকেরা।
সরেজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার তালম, দেশিগ্রাম, মাধাইনগর, তাড়াশ সদর ও বারুহাঁস ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার হেক্টর ফসলী জমিতে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই সমস্ত জমিতে সদ্য রোপন করা কাটারীভোগ, ব্রি-৩৪, জিরাশাইল, ব্রি- ৫৮, ব্রি- ৯০, ব্রি- ৩৪, ব্রি- ৪৯ জাতের রোপা আমন ধানের চারা পানিতে ডুবে গেছে। এর ফলে ওই এলাকার কৃষকেরা বেশ আর্থিক ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছেন বলে তালম ইউনিয়নরে মানিকচাপড় গ্রামের কৃষক আমিনুল হক বলেন।
তিনি আরো বলনে, যেখানে সেখানে পুকুর খনন ও পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করায় ওই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তাই জমি থেকে দ্রুত পানি নেমে না গেলে রোপন করা চারা ধান গাছ পঁচে নষ্ট হয়ে যাবে। এতে কৃষকরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হব, ক্ষতগ্রিস্ত দেশিগ্রাম ইউনিয়নের আড়ংগাইল গ্রামের কৃষক ছোহরাব হোসেনসহ অনেকে বলনে, সাধারণ কৃষকের কথা না ভেবে স্থানীয় প্রভাবশালী ও স্বার্থান্বেষী মহল ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা লঙ্ঘন করে অপরিকল্পিত ভাবে নিজেদের র্উবর কৃষি জমি কেটে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করছেন। এ জন্য উজানের বন্যার পানি নামতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। যার ফলে আমাদের তিন ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব জমিতে রোপন করা ধানের চারা পানিতে ডুবে গেছে।
তাড়াশ উপজলো কৃষি র্কমর্কতা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে মাঠে মাঠে পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরী হয়েছে। যে সমস্ত জমিতে রোপা আমন ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। ওই সব জমি থেকে দ্রুত পানি নেমে গেলে চারা ধানের তেমন ক্ষতি হবে না।
ঝর্ণা আক্তার/ আজকের সিরাজগঞ্জ