এসো হাটি আলোর পথে, মাদকের বিরুদ্ধে এই স্লোগানকে সামনে রেখে তিন তরুণ রায়গঞ্জ থেকে সিরাজগঞ্জ জেলা শহর পর্যন্ত দীর্ঘ ২২.২ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে অতিক্রম করেন। তীব্র গরমের মধ্যে ৪ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট হেঁটে তারা এই যাত্রা সম্পন্ন করেন। এই কঠিন যাত্রা তারা উৎসর্গ করেছেন ফিলিস্তিনের সংগ্রামী মানুষের জন্য।
শিশু বেলায় সিরাজগঞ্জ হেঁটে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল অংশগ্রহণকারীদের একজনের। পরিবার ও এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠদের মুখে শুনতেন, আগের দিনে মানুষ কীভাবে হেঁটে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতো। আজকের প্রযুক্তি আর যানবাহনের সহজলভ্যতার যুগে সেই পুরনো দিনের অভিজ্ঞতা নিজের মধ্যে ধারণ করতেই এই যাত্রা।
যাত্রায় অংশগ্রহণ করেন তিনজন মুন্নি তালুকদার, যিনি জীবনে কখনো এত দীর্ঘ পথ হাঁটার অভিজ্ঞতা অর্জন করেননি। কষ্ট হলেও, তিনি সফলভাবে যাত্রা শেষ করেন এবং একে জীবনের বড় প্রাপ্তি বলে মনে করেন। মওদুদ আহমেদ কুরাইশী যিনি একাধারে বন্ধু ও প্রফেশনাল। যাত্রাপথে তার অবদান ও সহযাত্রী হিসেবে ভূমিকা ছিল অনন্য।
তাদের সাথে ছিলেন এই হাঁটার উদ্যোগের প্রধান উদ্যোক্তা, যিনি ছোটবেলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারেননি।
এই যাত্রা শুধু হাঁটার অভিজ্ঞতা নয়, বরং একটি সামাজিক বার্তা, মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি এবং শারীরিক ও মানসিক দৃঢ়তার প্রকাশ।
ফেসবুকে পোস্ট দেখে যারা ফোন দিয়ে উৎসাহ দিয়েছেন, তাদের প্রতিও জানানো হয়েছে কৃতজ্ঞতা।
অভিজ্ঞতা থেকে তারা উপলব্ধি করেন, গাড়ির পথ আর পায়ে হাঁটা পথের মধ্যে দিনের ও রাতের মতো পার্থক্য, যেখানে গাড়ি মাত্র ১ ঘন্টা সময় নেয়, সেখানে হাঁটা পথ জীবনকে শেখায় ধৈর্য, সংকল্প আর আত্মসম্মান।
এই হাঁটা যেন অনুপ্রেরণা হয় আরও অনেকের জন্য, যারা স্বপ্ন দেখে, কিন্তু সাহস করে বেরিয়ে পড়ে না। তাদের জন্য বার্তা একটু কষ্ট হবে, কিন্তু চেষ্টা করলেই সব সম্ভব।