বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, একাত্তরে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু এখন অনেকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’র কথা বলে দেশে বিভাজন তৈরি করছে, অরাজকতা সৃষ্টি করছে। এতে দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হতে পারে, যা কোনো দেশপ্রেমিক নাগরিকের কাম্য নয়।
মঙ্গলবার (তারিখ উল্লেখ করুন) সিরাজগঞ্জ পৌর কনভেনশন হলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) জেলা শাখার দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জুলাই ২৪-এ ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন ঘটেছে। এখন কেউ বলছে বিপ্লব, কেউ বলছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা, আবার কেউ বলছে গণ-অভ্যুত্থান। অতীতে দেশে বহু গণ-আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে, কিন্তু ছাত্ররা কখনো দেশের মালিক হয়ে যায়নি। তাদের অবদান জাতি চিরদিন মনে রাখবে। তবে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচিত রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দিতে হবে।
টুকু আরও বলেন, শেখ হাসিনার সহযোগীদের হাতে লুটপাটের হাজার হাজার কোটি টাকা রয়েছে। তারা সেই অর্থ দিয়ে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে, যাতে জনগণ নির্বাচনমুখী হয় এবং দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসে।
তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, “জিয়াউর রহমান ছিলেন এক মহা সংস্কারক। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশ ঘটিয়েছিলেন, মিশ্র অর্থনীতি চালু করেছিলেন এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি, গণমাধ্যমসহ নানা ক্ষেত্রে যুগোপযোগী সংস্কার করেছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন, যা ভবিষ্যতে দেশের সংস্কার ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ড্যাবের সভাপতি ডা. এম. এ লতিফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডা. আতিকুল আলমের সঞ্চালনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. শাহ মো. শাহজাহান আলী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান বাচ্চু ও ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ডা. এরফান আহমেদ সোহেল। এছাড়াও বক্তব্য দেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. নুরুল আমীন, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আতিকুর নাহার এবং শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. আনোয়ার হোসেন।